চান্দিনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগঃ ইউএনও এর কঠোর প্রতিক্রিয়া
🖊️আবু ইউছুফ রাবেতঃ কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ১৩ নং জোয়াগ ইউনিয়নের ধেরেরা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানি ও অনৈতিক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারী ছাত্রী নুসরাত জাহান আফরিন লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করে। অভিযোগসুত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক তরিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে তার নিজস্ব বাসায় প্রাইভেট পড়ানোর সময় ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন অজুহাতে দেহ স্পর্শ করে, কু-ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে এবং এসএসসি পরীক্ষার পরে “কথা আছে” বলে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়।
অভিযোগকারী ছাত্রী নুসরাত জাহান আফরিন জানায়,
“আমি এ ঘটনার তথ্য প্রমাণ, যেমন মেসেজ, স্ক্রিনশট ও কল রেকর্ড সংরক্ষণ করেছি। আমি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে চরম নিরাপত্তাহীনতা, মানসিক চাপ এবং অপমানিত বোধ করছি।
”জানা যায়, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পূর্বেও অনুরূপ অভিযোগ ওঠেছে। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় বিষয়গুলো উপেক্ষিত ছিল, যার ফলে ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয় কোনো ব্যক্তির নয়। এটা এলাকাবাসীর। এম কর্মকান্ড ঘটতে থাকলে আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যতের জন্য প্রশ্ন হয়ে দাড়াবে।। এমন আচরণ কোনোভাবেই বরদাশতযোগ্য নয়।
জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আযহার সরকারি ছুটি চলমান থাকায় ছাত্রীরা সশরীরে অভিযোগ জমা দিতে না পারলেও অনলাইনের মাধ্যমে বিষয়টি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা সরাসরি হাজির হয়ে অভিযোগ দাখিল করবে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির আহবায়ক জসিম উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
এ দিকে অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলামকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি এ ব্যাপারে এখন কোনো কিছু জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
এ ঘটনায় চান্দিনা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,
“আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে না পারে, সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”