সৌদী (রিয়াদ) প্রবাসী প্রতিনিধি-ওমর ফারুক:বিশ্ব অর্থনীতিতে দেশ এগিয়ে রাখতে, মধ্যেপ্রাচ্য দেশ হিসাবে বেশি শ্রমিক জনশক্তি রপ্তানিতে সৌদী আরব বেশ পরিচিত। ২০ লক্ষ ৫০ হাজার বর্গকিলোমাইলের এই দেশটিতে মোট বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রায় ২৫ লক্ষ। অন্যান্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশীদের সংখ্যাই বেশি। প্রায় ৫০০০ কিঃমিঃ পাড়ি দিয়ে শুধু নিজ মাতৃভূমির এবং নিজের অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের আশায় প্রতিটি প্রবাসী শ্রমিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী করার জন্য বাংলাদেশীরা এই প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছেন। বহু আপনজন ও পরিবার প্রিয়জনকে মুখের হাসি ফুটাতে ঈদের দিনো তারা নিজদেরকে আনন্দে মেতে রাখতে ভুলে যায়নি। গত ৩০ মার্চ ভোর সূর্যউদয়ের সাথে সাথে সৌদী আরবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ জামায়েতের সাথে শেষ করা হয়েছে। প্রত্যেকে একত্রিতো হয়ে যেনো এক খন্ড বাংলাদেশের ঈদগাঁয়ে রুপান্তিত করলো।এর পরে ৩০ মার্চ ঈদের দিন সকাল ১০ টায় রিয়াদে অঞ্চলের ১৮ নং একজিট সংলগ্ন ইস্তেরাহ ভাড়া নিয়ে সবাই সেখানে গিয়ে ঈদ আনন্দে মেতে উঠেছেন। প্রায় শতাধিক বাংলাদেশী যুবকেরা ঈদ আনন্দে মেতে উঠে মনে হয়েছে হাসির আড়ালে দুঃখ লুকানো, কেহুবা আবার নিরব চাহনীতে পরিবারদের সাথে কথোপকথনে ব্যস্ততায় দিনটি কাটালো। দুঃখকে লুকিয়ে হাসি দেওয়া আনন্দে থাকা উপস্থিতি সবার থেকে জানতে চাইলে, তারা বলেন আমরা নিজ দেশকে ভালোবাসি এবং আমরা নিজেরা পরিশ্রম করে দেশ ও পরিবারের জন্য র্যামিটেন্স পাঠাই, আমাদের পরিবারের সবার হাসি ফুটাতেই নিজেরাই এই দেশের বছরের পর বছর শেষ করে যাচ্ছি। আমরা আমাদের আনন্দ সবার মাঝে বিলিয়ে দিয়ে বলতে চাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে, প্রবাসী ভাইয়েরা বিমান বন্দর নামার পরে তাদেরকে যেনো সম্মানের সাথে হয়রানীহীন ইমেগ্রেশন পাস দেওয়া হয়। তাদের দাবী রাস্তা ঘাটে পরিবার নিয়ে চলাফেরায় নিরাপত্তা হীনতায় যেনো না ভোগে। দেশের অর্থনীতি সচ্ছল রাখতে প্রবাসী র্যামিটেন্স যুদ্ধারাই দেশের একমাত্র জনশক্তি নামের সম্পদ। প্রবাসীদের জন্য সব সময় সরকারী প্রণোদনা বৃদ্ধি করে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এখন বৈধ ভাবে মুদ্রা প্রেরণ করলে শতকরা ৫ টাকা হারে নগদ প্রণোদনা পাওয়া যায়। সরকারের পক্ষ থেকে ২.৫ শতাংশ বেসরকারী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ২.৫ শতাংশ সহ সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ ক্যাশ প্রণোদনা পাবেন। এই ক্ষেত্রে প্রবাসীদের দাবী তারা ব্যাংকিক ভাবে টাকা প্রেরন করলে তারা প্রণোদনা ২.৫ শতাংশই পেয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন। সত্যিকার অর্থে প্রবাসীদের শ্রম বিক্রির মুদ্রাই একটি দেশ উন্নত ও সমৃদ্ধিশীল দেশ হিসাবে গড়ে উঠবে, আগামির প্রবাসী প্রজন্ম যেনো হয় এক নিরাপত্তার বেষ্টনী। তাই ঈদ আনন্দে থাকা উপস্থিতি সকল প্রবাসী র্যামিটেন্স যুদ্ধাদের দাবী প্রবাসীদের পরিবার ও যেনো সব সময় নিরাপত্তায় জীবন যাপন করতে পারে, এবং প্রবাসীদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।