গাজার নেৎজারিম করিডোর থেকে সরল ইসরায়েলি সেনা
ইসরায়েলি সেনারা সরে যেতেই শত শত ফিলিস্তিনি গাড়িতে নানা পণ্য বোঝাই করে উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ নেৎজারিম করিডোর থেকে সরে গেছে ইসরায়েলি সেনারা। এই সামরিক অঞ্চলই উত্তর গাজাকে দক্ষিণ গাজা থেকে আলাদা করেছে। যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরায়েল নেৎজারিম করিডোর থেকে সেনা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা সেখান থেকে সরে যেতেই শত শত ফিলিস্তিনি কার এবং মালবাহী গাড়িতে নানা পণ্য বোঝাই করে উত্তর গাজায় ফিরতে শুরু করেছে। এ অঞ্চলটি ইসরায়েলের ঘন ঘন হামলায় ধ্বংসস্তুপ হয়েছে।
গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। ইসরায়েল ও হামাসের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে এখন পর্যন্ত ২১ জন ইসরায়েলি জিম্মি এবং ৫৬৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চারায় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। তারা ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় এবং প্রায় ১২০০ জন ইসরায়েলিকে হত্যা করে। এরপরই ব্যাপকহারে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৮ হাজার ১৮৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের হামলায় গাজার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
যে ফিলিস্তিনিরা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তারা একাধিকবার জায়গা বদল করতে বাধ্য হয়েছে। এই ফিলিস্তিনিদেরকে নেৎজারিম করিডোর দিয়ে তাদের বাড়িঘরে ফিরে আসতে দেওয়া হয়নি।
যারা যানবাহনে চড়ে যাবেন, তাদের সালাহ আল-দিন স্ট্রিট ব্যবহার করতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরীয় নিরাপত্তা ঠিকাদারদের তল্লাশির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
বিবিসি জানায়, রোববার করিডোরের পূর্ব অংশ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
করিডরের ওই অংশ থেকে ইসরায়েলের সরে গেলে গাজার সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। তবে ওই করিডরের সড়কে আর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
ইসরায়েলের হারেৎজ সংবাদপত্র জানিয়েছে, হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন করা এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য বিদ্যমান চলাচল নির্দেশিকা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।