বেওলাইন যুব কল্যান সংস্থা ফাউন্ডেশন তরুণ প্রজন্মের সম্ভাবনার আলোয় গড়া এক নতুন ভোর
✍️ আবু ইউছুফ রাবেতঃ আগামী তরুণ প্রজন্ম: সম্ভাবনার আলোয় গড়া এক নতুন ভোর, এমন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার বেওলাইন যুব শক্তি ফাউন্ডেশন।
বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম।
বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে চিন্তাভাবনা, কাজের ধরন আর স্বপ্ন দেখার রূপ। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একেবারে সামনের কাতারে রয়েছে দেশের তরুণ সমাজ। তবে সম্ভাবনার এই রাজপথে রয়েছে চ্যালেঞ্জের ছায়াও।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ তরুণ। তারা এখন শুধু চাকরি প্রত্যাশী নয়—বরং উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি প্রদানকারী হতে চায়।
তরুণদের অগ্রগতির দিকগুলো হচ্ছে-
ডিজিটাল উদ্যোক্তা: ইউটিউব, ফেসবুক, টিকটক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে স্বনির্ভরতা অর্জন।
উদ্ভাবনী স্টার্টআপ: প্রযুক্তিনির্ভর অ্যাপ, অনলাইন শপ, কোচিং সেবা। সামাজিক নেতৃত্ব: জলবায়ু আন্দোলন, মানবিক সংগঠন, যুব সংগঠন গঠন।
স্বল্পমেয়াদি স্কিল কোর্সে ঝোঁক: ফ্রিল্যান্সিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং
তরুণ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীরা বলেন-
“আগে ভাবতাম চাকরি করতে হবে। এখন ভাবি, নিজেই কিছু করবো। নিজের গ্রামে কিছু তৈরি করতে পারলে তাতেই গর্ব।”
তবে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে, শিক্ষিত বেকারত্ব
মাদক ও প্রযুক্তির আসক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা
সঠিক গাইডলাইন ও প্ল্যাটফর্মের অভাব।
সমাজ বিশ্লেষকরা বলেন,
“তরুণদের শুধু স্বপ্ন দেখানো যথেষ্ট নয়—তাদেরকে প্রস্তুত করতে হবে, ব্যর্থ হলে পাশে দাঁড়াতে হবে, সফল হলে উৎসাহ দিতে হবে।”
সরকার ও বেসরকারি পর্যায় থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, ইনকিউবেশন সেন্টার এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা চালু করা হয়েছে। তবে এখনো তা প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের জন্য পর্যাপ্ত নয়।
আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়বে এই তরুণ প্রজন্ম। সঠিক দিকনির্দেশনা, উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম এবং একটি সহায়ক সমাজ কাঠামো থাকলে তারাই হতে পারে এই দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এখন সময় তরুণদের পাশে দাঁড়ানোর—তাদের স্বপ্ন দেখার সাহস ও বাস্তবায়নের পথ দেখানোর। তরুণরা বলছে- “আমরা প্রস্তুত, শুধু একটু ভরসা চাই!” বেওলাইন যুব শক্তি ফাউন্ডেশন যুব তরুনদের ঐক্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই একটি সুন্দর সমাজ গঠনে এ সংগঠনকে সবাই সহযোগিতা করা প্রয়োজন। দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে এমন সামাজিক সংগঠন গঠন হলে সমাজ উন্নয়নের সাথে সাথে রাষ্ট্রের উন্নয়নও সম্ভব হবে।