দৃষ্টি আকর্ষণ
দৃষ্টি আকর্ষণ দৈনিক বরুড়া কণ্ঠ'র ধারাবাহিক ও অনলাইন সংখ্যায় বিজ্ঞাপন প্রদানের আবেদন। অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, বরুড়া কণ্ঠর ২৪ বছর পেরিয়ে ২৫ বছরে পদার্পন করেছে। আমাদের প্রিন্ট পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। আপনার পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের একটি বিজ্ঞাপন প্রত্যাশা করছি। আপনার যেকোন সহযোগিতা পত্রিকাটি প্রকাশনার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। ধন্যবাদান্তে মোসাঃ তাছলিমা আক্তার সম্পাদক ও প্রকাশক মোবাঃ ০১৮১৯০৯৭৭৬২

ভোটের পূর্ণপ্রস্তুতি মে-জুনের মধ্যেই: বিএনপিকে ইসি

Barura Kantha / ২২ Time View
Update : রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

জাতীয়

 আমাদের বার্তা

ভোটের পূর্ণপ্রস্তুতি মে-জুনের মধ্যেই: বিএনপিকে ইসি

সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তাহলে সেই প্রস্তাবে বাধা দেবে বিএনপি। রোববার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে  সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা জানান।

সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এর আগে বলেছেন সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ক্ষমতা খর্ব হবে। এ বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে কি না? এর জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এটা তো তাদের ব্যাপার, তারা বলবে। আমরাও যদি মনে করি সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায়, ওটা নির্বাচন কমিশন কেন, আমরাও বাধা দেব।’

বৈঠকে ইসির পক্ষে নেতৃত্ব দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ, তহমিদা আহমদ, আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। আরও ছিলেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ।

বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন নজরুল ইসলাম খান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থায়ী কমিটির আরও দুজন সদস্য সেলিমা রহমান ও সালাহ উদ্দিন আহমদ। প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠক শেষে বেরিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে বুঝতে পেরেছেন আগামী মে বা জুন মাসে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে নির্বাচন কমিশন পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। সে হিসেবে দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব।

কমিশনের সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নির্বাচন ছাড়া আর আলোচনার বিষয় থাকে না। তারা (নির্বাচন কমিশন) এই মুহূর্তে কী কার্যক্রম, জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে প্রস্তুতি কী, এসব বিষয় মতবিনিময়ে এসেছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আগামী মে মাস, জুন মাসের মধ্যে ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নেই। কারণ, দেশের প্রচলিত সংবিধান আইন হলে, একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন তো ওই আইনে দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ হতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। তবে এতটুকু বোঝা গেছে যদি মে মাস বা জুন মাসের মধ্যে পূর্ণ প্রস্তুতি তাদের থাকে, তাহলে খুব দ্রুতই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

কবে নাগাদ নির্বাচন হবে, এমন বার্তা পেয়েছেন কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আগেও বলেছি, এই ঘোষণা তো ওনারা করতে পারেন না। কারণ, এখন সংবিধানের স্বাভাবিক যে নিয়ম, সে অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে না।’
আপনারা কোনো প্রস্তাব দিয়েছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, না। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের। তারপর শিডিউল (তফসিল) ঘোষণা নির্বাচন কমিশন করবে। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একটা আলোচনা আছে। সেখানে এই প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হবে

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর