শিরোনাম:
বরুড়ায় ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠনের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত বরুড়ায় ওরাই আপনজন সামাজিক সংগঠনের ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির ফুটবল ফেস্ট উদ্বোধন বরুড়া উপজেলার উন্নয়ন কার্যক্রম এর অগ্রগতি বরুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃংখলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা-২০২৫ অনুষ্ঠিত বরুড়ায় প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক মেধাবী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত বরুড়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে অত্যাধুনিক উৎপাদন কারখানা নিয়ে গ্রাসহপার বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস সম্প্রসারিত হলো কুমিল্লায় ধ্রুবতারার রজতজয়ন্তী উদযাপন 

চিতোষীরোড স্টেশনে ট্রেন থামলেও অফিসে ঝুলে তালা,কর্মকর্তারা আসেন নিজের ইচ্ছেমতো

Barura Kantha / ৫০০০ Time View
Update : বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

সৌরভ লোধঃ

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত লক্ষীপুর ইউনিয়নের চিতোষীরোড রেলস্টেশন। একসময় প্রতিদিন ১০-১২টি ট্রেন থামলেও বর্তমানে মাত্র দুটি ট্রেন থামে এখানে—সরকারি মেঘনা এক্সপ্রেস ও বেসরকারি সাগরিকা এক্সপ্রেস।দিনে চারবার ট্রেন থামলেও স্টেশনঅফিস প্রায়ই তালাবদ্ধ থাকে সরকারি মেঘনা এক্সপ্রেস যাওয়ার পরপরই।

যাত্রীদের অভিযোগ, রাতে ও ভোরে মেঘনা এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রির জন্য স্টেশন খোলা থাকলেও দুপুরে ও বিকেলে ট্রেন আসার আগে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকেন না। ফলে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন এলেও স্টেশন অফিস থাকে বন্ধ।এতে ট্রেন সংক্রান্ত তথ্য জানা কিংবা জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের সুযোগ থাকে না যাত্রীদের।

সরেজমিনে দেখা যায়, দিনের পর দিন অফিস তালাবদ্ধ থাকায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। এমনকি অনেকেই দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বিকল্প বাহনে লাকসাম গিয়ে টিকিট কেটে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগে এই স্টেশনে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করতেন। এখন ট্রেন কমে আসায় স্টেশন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। স্টেশনে বসার চেয়ার অপরিষ্কার, বাথরুম তালাবদ্ধ, এসব কারণে ভোগান্তি আরও বাড়ছে।

আব্দুল করিম নামের আরেক দোকানদার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আগে এখানে আমার দোকান ছিলো। তখন ট্রেনে করে কত মানুষ আসা-যাওয়া করতো! প্রতিদিন ৭টি ট্রেন যেতো, আবার ৭টি ফিরেও আসতো। কিন্তু এখন মাত্র দুটি ট্রেন চলাচল করে। যাত্রীও প্রায় নেই বললেই চলে। স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলে উনারা বলেন এটা নাকি বন্ধ স্টেশন!
তিনি আরো জানান, সরকারি মেঘনা ট্রেন আসলে অফিস খোলে, টিকিট বিক্রি হয়। কিন্তু বেসরকারি সাগরিকা ট্রেনের সময় অফিসে কেউ থাকে না।যেহেতু সাগরিকাতে যাত্রীদের ভেতরে গিয়ে টিকিট কাটতে হয়,সেজন্য অফিসও খোলা রাখেনা।

স্থানীয় বাসিন্দা মামুনুর রশিদ বলেন,এই অফিস খোলা থাকে মূলত মেঘনা ট্রেনের জন্য। সাগরিকা ট্রেন এলে মাঝে মাঝে খোলা রাখা হয়। অনেক সময় যাত্রীরা এসে দেখেন স্টেশনের অফিস কক্ষ বন্ধ। তখন বাধ্য হয়ে তারা বাড়তি টাকা খরচ করে লাকসাম চলে যান। সেখান থেকে টিকিট কেটে গন্তব্যে যেতে হয়। এতে সময় ও খরচ দুই-ই বেড়ে যায়।

স্টেশনে বসবাসকারী বাবুল নামের এক ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন তিনি নিজ উদ্যোগে স্টেশনের চেয়ারগুলো পরিষ্কার করেন। তবে তিনি কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী নন, রাতের বেলায় স্টেশন চত্বরে ঘুমান। যেদিন স্টেশনের বাথরুমে তালা থাকেনা সেদিন এলাকার অনেকেই আবার স্বেচ্ছায় বাথরুম পরিষ্কার করে দেন। বিনিময়ে মাঝে মাঝে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা তাদের চা-নাস্তা খাওয়ান বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে চিতোষীরোড স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার মূল দায়িত্ব মেহের স্টেশন। অতিরিক্তভাবে চিতোষীরোড স্টেশনের দায়িত্বও আমার ওপর আছে। মাসে ৪-৫ বার ওই স্টেশনে যাওয়া হয়। তবে সেখানে বুকিং সহকারী ও পোর্টার নিয়োগ করা আছে। কর্মকর্তারা নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না এমন অভিযোগ আগে পাইনি, আপনারদের মাধ্যমে জানলাম। আসলে চিতোষী একটি বন্ধ স্টেশন হলেও এখানে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। স্টাফরা কেন দায়িত্বে থাকেন না, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর